মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ফসলী জমির মাটি জোরপূর্বক কেটে নিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। উপজেলার জৈনসার ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন কাঠালতলী গ্রামের হাজী মোঃ বিল্লাল হোসেন মিয়া ছেলে ভুক্তভোগী মোঃ আলী আজগর মিয়া। স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামের বাসিন্দা সমশের আলম ভুঁইয়ার বাড়ি সংলগ্ন একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্প্রতি শুরু করেন জৈনসার ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ মোয়াজ্জেম। ওই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য রাস্তার পার্শ্ববর্তী কাঠালতলী মৌজাস্থিত আর,এস ৩৫০ নং দাগের ব্যক্তি মালিকানা ৬৩ শতাংশ ফসলী জমির মাটি মালিকের অনুমতি না নিয়ে জোরপূর্বক কেটে নিয়ে রাস্তায় ভরাট করেন ইউপি সদস্য মোঃ মোয়াজ্জেম। নির্দিষ্ট জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ না করে ব্যক্তি মালিকানা জমির পাশ ঘেছে রাস্তা নির্মাণ ও রাস্তা সংলগ্ন ফসলী জমির মাটি জোরপূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগে গতকাল বুধবার দুপুরে জমির মালিক ও স্থানীয় লোকজন রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়ে এর প্রতিকার চেয়েছেন।
ভুক্তভোগী মোঃ আলী আজগর মিয়া বলেন, মেম্বার আমার জমি থেকে আমার অনুমতি না নিয়ে জোর করে মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছে। সে আমার ফসলী জমির ক্ষতি করে রাস্তা বানানোর কোন অধিকার নেই। যে জায়গা দিয়ে রাস্তা নেওয়ার কথা সেখান দিয়ে না রাস্তা নিয়েছে সেটা আমার ক্ষেতের একপাশের উপর দিয়ে রাস্তা নেওয়া হয়েছে। আমার জমির মাটি জমিতে ভরাট করে দিতে হবে। এটা সে অন্যায় করেছে আমি তার বিচার চাই। অভিযুক্ত জৈনসার ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ মোয়াজ্জেম মুঠোফোনে বলেন, রাস্তাটির সংস্কার করা হচ্ছে। আমিই রাস্তার কাজ করতেছি। আগে যেখানে রাস্তা ছিলো সেখানেই মাটি ভরাট করছি কারো জায়গায় মাটি ভরাট করিনি। রাস্তা নির্মাণে জোরপূর্বক ফসলী জমির মাটি কাটার অভিযোগের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি৷ এ ব্যপারে জানার জন্য জৈনসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদুন মুঠোফোনে ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।