1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চার দিনের সফরে চীনের পথে প্রধানমন্ত্রী বাকেরগঞ্জে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিলেন আ’লীগ নেত্রী রাফির উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত তমা ক্ষুধা মেটেনি রিয়াল সভাপতির, নজর ১৬তম শিরোপায় আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ত্রাণ বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মাহিকে দুটি গাড়ি ও ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আজিজ এমপি আনারের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ মাসে ১ দিন কিংবা সাপ্তাহে ১ দিন নয়,২৪ ঘন্টা আমি আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই-মঈনুল হাসান নাহিদ! সিরাজদিখানে ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম বাবুল এর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়

সিরাজদিখানে তারাবী নামাজে ভুল ধরাকে কেন্দ্র করে ঈমাম তাড়ানোর পায়তারা!

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৩৮ বার

গত রমজানে তারাবী নামাজে ভুল ধরাকে কেন্দ্র করে সিরাজদিখান বাজার জামে মসজিদের ঈমাম হাফেজ মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী নামে এক ঈমামকে তাড়ানোর পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সিরাজদিখান বাজার বনিক সমিতির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন বেপারীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। এছাড়া ঈমাম হাফেজ মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ না থাকার পরও বিনা নোটিশে মসজিদ ত্যাগের জন্য অবৈধ ভাবে এক মাসের সময় বেধে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, মুফতি মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী গত পাঁচ বছর যাবত সিরাজদিখান বাজার জামে মসজিদের ঈমাম হিসেবে কর্মরত আছেন। গত রমজানে সিরাজদিখান বাজার বনিক সমিতির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন বেপারীর ছেলে মাহফুজুর রহমান মাদরাসায় হাফেজী পড়াশোনার সুবাদে তার পিতার অনুরোধে মুফতি মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী তাকে তারাবী নামাজ পড়ানোর সুযোগ করে দেন। ২৭ তারাবীর মধ্যে তিনি ২০-২১ তারাবী পরান। এসময়ের মধ্যে প্রায় দিন তিনি তারাবী নামাজে সুরা ভুল পরায় মসজিদের ঈমাম নূরে আলম সিদ্দিকী লোকমার মাধ্যমে তার ভুল ধরিয়ে দেন এবং নামাজে ভুল পড়ানোর বিষয়টি মাহফুজুর রহমানের বড় ভাই মাহমুদুর রহমানকে অবগত করেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি বাজার বনিক সমিতির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন বেপারী জানতে পেরে ঈমামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে ঈমাম নূরে আলম সিদ্দিকীকে দেখে নিবেন বলে ইঙ্গিতে হুমকি প্রদান করেন মর্মে ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈমাম হাফেজ মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী বিগত ৫ বছর যাবত সিরাজদিখান বাজার জামে মসজিদে ঈমাম হিসেবে কর্মরত আছেন। ৫ বছরের মধ্যে তার বেতন বৃদ্ধি না করায় সংসারের ঘরচ যোগান দিতে গিয়ে হিমসিম খেয়ে বেকায়দায় পরে স্থানীয় একটি মাদরাসায় ১ ঘন্টা শিক্ষকতা করে সংসারের খরচ যোগান দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে সংসারের খচর যোগান দেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পরলে বাজার বনিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট মৌখিক ও লিখিত একাধিকবার আবেদন করেও বেতন বৃদ্ধি করাতে না পেরে অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাফেজ মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী। এর উপর অন্যায় ভাবে চাকুরীচ্যুত করার পায়তায় অনেকটাই অসহায় হয়ে পরেছেন তিনি। ভুক্তভোগী হাফেজ মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, গত রমজানে রুহুল আমিন বেপারীর ছেলে ২০-২১ দিনের মত তারাবী নামাজ পড়িয়েছেন। প্রায় সময় তিনি ভুল করতেন। আমার নামাজে ভুল ধরাটা রুহুল আমিন বেপারী তিনি এবং তার ছেলের অপমান করা হচ্ছে ভেবে নিয়ে তিনি আমাকে বললেন, আমি যদি বেচে থাকি আর যদি আমার ক্ষমতা থাকে তাহলে আগামী রমজানের আগে কাটা আলাদা করবো! তার মানে উনি আমাকে এখানে থাকতে দিবেন না। আমাকে অন্যায় ভাবে তাড়ানোর পায়তারা করা হচ্ছে। আমাকে এক মাসের সময় দিয়েছে চলে যেতে। আমিতো কোন অন্যায় করিনি। নামাজে ভুল ধরাইকি তাহলে আমার অপরাধ ছিলো? তারা যখন আমাকে নিয়োগ দেয় তখন কথা ছিলো আমাকে থাকার জন্য বাসা দিবে। কিন্তু বাসা দেয় ঠিক তবে পরে সেখানে থাকতে পারিনি। আমাকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হয়। সে হিসেবে কমিটির কাছে ৫ বছরে বাসা ভাড়ার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত তাদের কাছে পাই।

সিরাজদিখান বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতাহার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, গত পরশু কমিটির সর্ব সম্মতিক্রমে তাকে বিদায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওনার চেয়ে আরও একটু ভালো, আরো একটু আমলদার হুজুর আনবো। ঈমামের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি কৌশলে কথা এড়িয়ে গিয়ে স্বাক্ষাত করতে বলেন। অভিযুক্ত সিরাজদিখান বাজার বনিক সমিতির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন বেপারী মুঠোফোনে বলেন,এ ঘটনাতো গত রমজানের তাহলে এতোদিন আমি করলাম। তার অভিযোগ সত্য নয়। আমরাকি তাকে বিদায় করার ক্ষমতা রাখি না। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি তাকে নিয়ে আসেন স্বাক্ষাতে যা বলার বলবো। রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।(জণপ্রতিনিধি) এডভোকেট আবু সাঈদকে বিষয় জানানো হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন মর্মে আশ্বস্ত করেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ