মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে দোকান বাকী না দেওয়ায় কামাল হোসেন (৩৭) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে কেয়াইন ইউনিয়নের বড়বর্তা (মাইনারটেক) গ্রামে ভুক্তভোগী কামাল হোসেনের বসত বাড়ির সামনে রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন বিকালে ভুক্তভোগী কামাল হোসেন বাদী হয়ে একই গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে কাউসার (২৫),লিচু মিয়ার দুই ছেলে ঢালু মিয়া (৩০) ও লালু মিয়া (২৭) বিবাদী করে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেয়াইন ইউনিয়নের বড়বর্তা (মাইনকারটেক) গ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে কামাল হোসেন শারিরীক প্রতিবন্ধি হওয়ার কারণে কারো কাছে হাত না পেতে নিজ গ্রামে মুদি দোকান করে সংসারের খরচ যোগান দিয়ে আসছেন।
প্রায়ই অভিযুক্ত কাউসারসহ তার পরিবারের লোকজন কামাল হোসেনের মুদি দোকানে গিয়ে বাকী দিতে বাধ্য করে করতো। মাঝে মধ্যে কামাল হোসেন তাদের বাকী দিতে অস্বীকৃতি জানালে কাউসারসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে গালিগালাজসহ মারধর করতো। সম্প্রতি কাউসার সহ তার ভাইয়েরা কামাল হোসেনের দোকানে গিয়ে পুনরায় মুদি মালামাল বাকীতে চাইলে কামাল হোসেন তাদের বাকী দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরই জেরে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে কামাল হোসেনকে তার বাড়ির সামনে একা পেয়ে কাউসার, ঢালু মিয়া, লালু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন মিলে কামাল এলোপাথারি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী কামাল হোসেন বলেন, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ মুদির দোকান করে আমি সংসার চালাই। তারা প্রায় সময় আমার দোকানে এসে বাকী দিতে বলে। আমি তাদের বাকী দিতে না চাইলে তারা আমাকে মারধর করে এবং বাকী না দিলে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। চেয়ারম্যান সাহেবকে বিষয়টা জানিয়েছি। সে একবার বিচারো করে দিয়েছিলো। তারা কারো কথাই মানে না। আমি তাদের বিচার চাই। এ
ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রতিবেদকের উপর চড়াও হয়ে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেন এবং সংবাদটি প্রকাশ পেলে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মিজানুল হক জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই দেখতে হবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।