১৯৪৯ সালের পুরোনো ঢাকার রোজগার্ডেন ভিলা থেকে ২০২৩ সালের সিডনী ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টের ব্যাঙ্কোয়েট হল। বুড়িগঙ্গার তীর থেকে প্রশান্ত পাড়। সুদীর্ঘ ৭৪ বছরের পথপরিক্রমা পেরিয়ে সদম্ভে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। দলটির নাম “বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ”
আওয়ামীলীগ মানেই রক্তে বান জাগানিয়া আবাহন, আওয়ামীলীগ মানেই দেশকে ভালোবেসে মরে যাবার আকুল আহুতি।
গতকাল সন্ধ্যেটা ছিলো আর দশটা সাধারণ সন্ধ্যের চে ব্যতিক্রম। কারণ কাল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়া পালন করলো আওয়ামীলীগের ৭৪ তম জন্মদিন। পতাকা শোভিত আর ব্যানার খচিত ছিলো ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টের ব্যাঙ্কোয়েট হল।
আমন্ত্রিত অতিথিরা এসে গ্যাছেন !
আমন্ত্রিত অতিথিদেরকের পরিচয় করিয়ে দিলেন সংগঠনের সভাপতি, আইনজীবী ডঃ সিরাজুল হক। অতঃপর ডঃ হক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী শিকদারকে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্টেলিয়ার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবীব হাসান টুলুর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হলো জন্মদিনের অনুষ্ঠান। এরপর সঞ্চালক আলী শিকদার মঞ্চে ডেকে নিলেন ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম রুবেলকে।
পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সফলতা, অর্জন, বিজয়গাঁথা, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের করণীয় কার্যক্রম নিয়ে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কালাম খান, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনলিপি নিউজ ডটকমের চেয়ারম্যান এস এম দিদার হোসেন, মোসলেউর রহমান খুশবু, আব্দুস শাকুর, শাহ কামাল, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আশরাফুল হোসেন হাওলাদার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার আহ্বায়ক বিলকিস জাহান, সাংকৃতিক সম্পাদক নীলুফা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহিলা যুবলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক পারভীন খায়ের, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা নিয়ে কথা বলেন অনলাইন অ্যাক্টিভিটিস্ট গোলাম ফারুক।
চমৎকার বক্তব্য তুলে ধরেন ঢাকা উত্তরের ছাত্রলীগ নেতা অর্ক হাসান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় সাহা। সুহৃদ সোহানকে কথা বলার জন্য দুই দুইবার ডাকা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। গতকালকের ধানসিঁড়ির সন্ধ্যেটা ছিলো যেন এক টুকরো বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগের জন্মদিনে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষক ডঃ মাসুদুল হক এবং বিশেষ অতিথি বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিডনীর সভাপতি রফিকুল ইসলাম তাঁদের তত্ব এবং তথ্যবহুল বক্তৃতার মাধ্যমে দলের অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পথচলা এবং আমাদের করণীয় সম্পর্কে সুমধুর বক্তৃতা রাখেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সহ সভাপতি মৌসুমী সাহা, ছাত্রলীগ নেতা ফাহাদ আসগর, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টের কর্ণধার জামাল হোসেন, নওয়াব রেস্টুরেন্টের কর্ণধার ও আওয়ামী নেতা শফিক শেখ, ব্যাঙ্কসটাউন সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, সময় টিভি’র সিডনি প্রতিনিধি ও সাংবাদিক আমিনুল রুবেল, কবি ও লেখক ফাহাদ আসমার এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কখনই তাঁর বক্তৃতা দীর্ঘ করতে পারেন না বিধায় শ্রোতাগণ সবসময়ই একজন চমৎকার কথা শিল্পী এবং সুবক্তার বক্তব্য মিস করেন ! এবং অবধারিত ভাবে সেই বক্তার নাম ডঃ সিরাজুল হক। তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে সবাইকে নৈশভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানান। নৈশভোজ শেষে কাটা হয় জন্মদিনের কেক।
দুর্দান্ত শীতের সন্ধ্যেটা মুহুর্মুহু জয় বাংলা শ্লোগানে আগুন হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কচি।
ছবি ও রিপোর্ট: সুহৃদ সোহান হক।