তুমি কোথায়, কত দূরের,
কোন বিষুব রেখায় তোমার বসবাস?
কত ডিগ্রী এঙ্গেলে তোমার ঠিকানা?
কর্কট কিংবা মকরক্রান্তি নিরক্ষরেখার ময়ূখ দূরত্বে,
কোথায় দেখেছিলাম আমি
অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ভরা কোটাল, মন্দাকিনীর বেষ্ঠনী।
প্রশ্নে প্রশ্নে উদ্বেলিত নিজেই।
নিঃসঙ্গ চেতনাহীন তুষারাবৃত শীতল এই বুকের, মাঝে মাঝে জ্বলে ওঠা ফসফরাসের জ্বলছি ক্ষণেক,
য্যানো কোনো ভূঁতুড়ে আলোর হাতছানি,
নতুবা কেন হঠাৎই চমকে ওঠা ?
গ্রহ-গ্রহান্তরের ছিটকে পড়া কোনো নক্ষত্রের রহস্যময় অজানা গন্তব্যের পথ ধরে, মেঘাবৃত একলা আকাশ,
অপাপবিদ্ধ নিঃশ্বাসের শুদ্ধিতে
জমাট বাঁধা শিশিরের ঝরছে বিন্দুর জল কণা,
পাথুরে রুক্ষতায় জন্ম নিয়েছে হার্দিক ভালোবাসা।
হউক না পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে, হউক শেষ সীমানা,
চুপি চুপি বলি শোনো কথাটা,
যে কোনো রেখার বিন্দু দিয়ে আমি,
ছুঁয়ে দেব তোমার হৃদয় আঙিনা।
তোমার হৃদয় নিশ্চিত করে জানবেই,
বন্ধুর জন্য বন্ধু হৃদয় ও আত্মা।
আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই থাকে
নিজের চেয়ে বেশি বড়ো কোনো বন্ধুর বাস,
এমন দারুণ বন্ধু বারংবার না,
সারাজীবনে পাওয়া যায় একবার।
(প্রীতিভাজনেষু বন্ধু শামীমা হাফিজ কে (লন্ডন) উৎসর্গ)
সিফাত হালিম, ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া।