হা ঈশ্বর, লিখেছো কেমন বিধান?
সব ধর্মেই পুরুষ শুদ্ধ, শুধুই নাকি শুভ্র সত্যের দেবতা।
জৈবিক চেতনার ঈন্দ্রীয়পরায়ণ পুরুষ যখন,
কামচিত্ত ক্ষুধা প্রশমনে বিপরীত দেহে বীর্যস্খলন করে,
তখন নারী হয় নটিনী, নর ভগবান।
হা ঈশ্বর এ কোন বিধান?
পুরুষের প্রলোভন রতিক্রিয়ার শিকার নারী,
জীবনের প্রারম্ভে স্বপ্নচ্ছটায় যার অপরাধ অপমৃত্যু,
যিনি মনের সুখে ধর্ষণ করলেন, তিনি সজ্জন দেবরাজ,
নারী বেবুশ্যে কুমারী মাতা, নরের ইতরামির ফসল শিশু জারজ সন্তান।
পুরুষ চিত্তে পরিতৃপ্তির উত্তঙ্গু প্রয়াসে প্রজনন বৃদ্ধি,
সনদপূর্ব গর্ভে ধারণ,
সমাজের রোষানলে নারী,
ঘরে বাহিরে প্রসব যন্ত্রণাসম বেদনার প্রাণ ওষ্ঠাগত,
যে জাতে সুবিধা বেশি,
সাব্যস্ত হয় নারী অসতি এবং নরের দেবত্ব।
হা ঈশ্বর, এ কিসের বিধান?
পুরুষ মাত্রেই নারীর ভাগ্য বিধাতা,
নারী সকল দেব ভোগ্যা হয়ে বাড়াবে নারীত্বের মর্যাদা,
পিতা-পুত্র ও স্বামীর সংসারের সেবাদাসী,
এই সমাজের চির অনুশাসন,
অপারগতায় নর পিতা, নারী হবে বেশ্যা।
একাধিক নারী দেহে উপগত হওয়া যদি পুরুষের ধর্ম,
এবং পুরুষ যদি হয় সব ধর্মগ্রন্থে দেব,
সন্দেহ কি থাকে বহু ভোগ্যা ঊর্বশী তবে দেবী?
(যাঁর কলম আমাকে সাহসী হতে শিখিয়েছে, আমার সেই শ্রদ্ধেয়া কে)
কবিতা গ্রন্থ :অপরাহ্নে ঝলক থেকে সংগৃহীত।