একটা দরকারি কথা আছে,” বন্ধু কি খবর বল” জাতীয় কথা
তোর কাছে এমন কিছু না, অপ্রয়োজনীয় সব খামখেয়ালি কিন্তু আমার কাছে হীরের চাইতে দামী।পুরনো দোকানে দাঁড়িয়ে ম্যাসেজ লিখতাম, এখানে ঝুম বৃষ্টি,খটখটে তপ্ত জায়গা বেছে চল না কোথাও ঘুরে আসি। উল্লসিত আবেগের সেই তুই বললি হেসে, গন্তব্যের ঠিকানা আছে কোনো?
সাথে সাথে এ প্রান্তের উত্তর যেত, পথের সাথে মোরা বাঁধবো একটা ঘর, যেতে যেতে গন্তব্য যাহোক ঠিক করে নেব।
এখন উত্তরই দিসনে কোনো, ফোনের রিং টোন টা পর্যন্ত বন্ধ। আমিও কপোট ভান করেছি কখনও, সময় চলে গেছে ,
আমারও হয়েছে যাবার সময়, কতদিন দেখা হয়নি বিগত আড্ডায়, লিখলেই পূর্ব বিবাগী তুই হলদে রঙা পঙ্খীরাজে চেপে,
হৃদয় ভাঙা আর্তনাদে বলতিস কেঁদেকেটে, ওরে না, না ভুলেও যাবি না তুই অন্য জমানায়।
অথচ তোর অবহেলার সময় চলে গেল,পাল্টে গেলি তুই, কখনও হু’হা এক শব্দে সরব ছিলি, তারপরে একেবারেই নিরব হলি, আমিও গিয়ে ছিটকালাম অন্য জমানায়।
তুইও আছিস ভালো, আমিও এখন একরকম। আচ্ছা বাদ দে, অদরকারি সব খামখেয়ালি।
আমার মেঘ ঘন লম্বা চুলের গোছা হালকা এখন, ধরেছে কিছুটা কিছুটা পাক, তোরও কি তবে ঝরেছে চুল, বেরুলো বুঝি টাক?
আমার গায়ের গন্ধটা ঠিক তেমনি আছে, তোরও কি তাই? তুই কি আজো তেমন করে আবৃত্তি করিস? কাউকে বলিস? “ভারতেশ্বর শাহজাহান,
ভুলি নাই, ভুলি নাই, ভুলি নাই প্রিয়া।
আমার এখন যাচ্ছে যায় বেলা, এক দুই তিন দিনগোনা, মনের মধ্যে শুধুমাত্র ঊনিশশো আশির পদ্য লেখার মনোষ্কামনা বাকি,
যা তোরই জন্য, তোকেই উৎসর্গ দেবো ভাবছি,
আস্হার আবৃত্তিটা থাকলো নাহয় ফাঁকি।
আমার একটা দরকারী কথা আছে রে,
খুবই দরকারি, যা শুধু তোকেই বলতে পারি।থচ জানি, কথাটা বলা হবে না কোনোদিনও।
(ধন্যবাদ গায়ক কবির সুমন ভাইকে)