1. successrony@gmail.com : Mehedi Hasan Rony :
  2. arif_rashid@live.com : Arif Rashid : Arif Rashid
  3. meherunnesa3285@gmail.com : Meherun Nesa : Meherun Nesa
সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন

জননীর চিরকুট- ৪র্থ পর্ব

সিফাত হালিম, ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া।
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৫৩০ বার

আমি এগিয়ে দেখি কুতুব ও উপস্থিত ।

আমায় সাত তাড়াতাড়ি ফিরতে দেখে ও অবাক হলো।বললো,”খাওনি?”
আমি হেসে বললাম,”হাসপাতালের খাবার রোগীর মুখে রোচেনা গো।রোগীরা সবাই বাধ্য হয়ে খায়।”
ও কাতর হলো,”তুমি তাহলে খাওনি?”
-“চিন্তা কোরোনা, একেবারে যে খাইনি, তা -না। স্যুপ ছিল।”
কথাটা না লিখে পারছি না। হাসপাতালের খাবার খেতে বসে, আমার কান্না পেত খুউব।প্রথম দিকে খাবার নাড়াচাড়া করে রেখে দিয়েছি। যাই হোক অধিক সময়ে হাসপাতালে থেকে থেকে ভিয়েনার খাবার দাবারে ইতোমধ্যে অভ্যস্ত হয়েছি কিছুটা। শুধুমাত্র স্যুপ আমার দারুণ পছন্দ হয়। এখানে অধিকাংশ দিনে, দুপুরবেলায় খাবার পরিবেশনের পূর্বে, স্যুপ ও স্যালাড দিয়েছে আর আমি এই দুপুরের জন্য অপেক্ষা করতাম। স্যুপ দিলে কখনও কখনও বাটি দুই সাবাড় করেছি। ফ্রিদাতেন, আলটভিনার, রোলক্রাস্টে, ব্রকোলিক্রীম ইত্যাদি নানারকম স্যুপ।খুবই উপাদেয় এবং স্বাস্থ্যসম্মত।
কুতুব মলিন হাসলো।
আমি উল্টো শুধোলাম ,”তুমি?”
ও না বললো।
আমি জানি,কুতুব হোটেল রেস্তোরাঁয় একদমই খেতে পছন্দ করে না। ঘরে তৈরি খাবারের দিকে ওর ঝোঁক এবং ভোজন রসিক মানুষ ।
তারপরও বললাম,”সে কি। তুমি না খেয়ে? এতো বেলা অবধি? ”
ও আস্তে করে বললো,”মোটেতো একবেলা। অসুবিধা হবে না। আমার অভ্যাস আছে।”
-“সে তুমি বরাবরই।”
কুতুব এমনই।আহামরি বা অতিরঞ্জিত কিছু ভাব নেয়না।আমার চেনা দেখা পরিবেশে অসংখ্য মানুষ আছেন, সামান্য অর্থ বিত্তের অধিকারী হয়ে নিজেকে ওঁরা আমূল পরিবর্তন করেছেন।জাত-পাদ,অতীত ভুলেছেন। শিক্ষা, পোশাক,এমনকি পরিচয় পর্যন্ত পাল্টে নিয়েছেন । কত ঠাটবাট দিয়ে ঘোরেন ফেরেন। নামের নীচে মাইল খানেক পরিচিতি , যেন বিশ্বজোড়া পাঠশালার মোটামোটা ডিগ্রি আর তেমনই কর্মশালা ওদের। কুতুবের বাবা সরকারি ভাল চাকুরে ছিলেন, কুতুব নিজে জাতীয় দলের ফুটবলার ছিল।অথচ সবকিছুই পরিমার্জিত ওর। অত্যন্ত শিষ্ঠসভ্য,সাদামাটা মানুষটার মধ্যে অহমবোধের কোনো বালাই নেই। রাগ জিনিসটা যে কি;তাও আমি দেখিনি কখনো ।
আমি কথায় আসলাম,”ইসমাইল সাহেবের সঙ্গে আলাপ করে এলাম। উনি বেশ রোমান্টিক লোক।” – – ” বলেছিলাম তোমার সাথে কথায় মিলবে ভালো।” —, “ঠিক। বেশ মুক্তমনা রসিক মানুষ। কিন্তু আর অল্প কয়েক দিন আছেন।” – – -, “কেমন একটা হয়ে গেল না? তাহলে তো সমস্যা।” —“কিসের? দ্যাখো কুতুব, যে কখনো প্রদ্বীপের আলো দেখেনি। তাকে অন্ধকারে চাঁদ তারার আলোয় পথ চলতে হয়।উনি এখানে না থাকলেও আমায় থাকতে হতো ।”–,” তোমার রাশভারী কথা। আমার কান্না পায়। আমি যদিও সব অর্থ বুঝিনা।” আমি বললাম, “মহাসত্য কি জানো, এ জগতে মানুষ বেশি হাসি বা বেশি কান্না দুটোর একটাকেও চায় না। আমাকে বুঝতে হবে, এখানে আমি একা। কিন্তু তুমি ওনাকে খুঁজে বের করে, আমায় অনেক বেশি হাসি আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ করে দিলে। সময়টা অল্প হলেও উনি থাকাতে ভালোই হবে। অত্যন্ত দিল খোলা ভদ্রলোক। মানুষকে আপন করে নিতে পারেন।” একটু থেমে নিই। তারপর বললাম,” আচ্ছা তোমার ফেরার বাস কখন? ”
-“আধা ঘন্টার ওপর । বাঁকে ভরা খাঁড়া পাহাড়ি পথ। কোনো ঝামেলা না হলে এসে যাবে। সময় আছে, এই ফাঁকে তোমাকে কফি খাওয়াতে পারি। ক্যাফেতে তোমার প্রিয় ভিনারমেলন্স্ (ভিয়েনার বিখ্যাত কফি ) এবং কাপোচিনো (ইতালির বিখ্যাত কফি) দুইই আছে । চলো যাই, খাবে।”
কুতুব চা বা কফি, কেক খায়না।আমার পীড়াপীড়িতে নিজের জন্য “ক্রেমক্রামেল”(ফ্রান্স )ও স্বাভাবিক পানি এবং আমার জন্য “তেরামিছু”(অষ্ট্রিয়া)ও এক পেয়ালা কাপোচিনো নিলো। অতঃপর ক্যাফেতে দু’জন মুখোমুখি বসেছি।
সেন্ট্রুমে আসা অবধি আমাদের দুজনেরই হ্যান্ডিতে অনবরত ফোন আসছিল । কুতুবেরটা বেজে বন্ধ হলে আমারটা বেজে ওঠে। আমরা বুঝেছি, কে হতে পারে। নিরবে নিঃশব্দে দুজন দুজনের মুখে তাকিয়েছি আর কেটে দিয়েছি । সময়ের অভ্যাস আছে, ল্যান্ডফোন থেকে ফোন করার । আমাদের নম্বর ওর মুখস্থ । গড়গড় বলে যায়। আমরা কেউই বাড়িতে নাই দেখে ও এমনই করছিল । যাইহোক,তারপর থেকে আমার ফোনটা বন্ধ করে রেখেছিলাম। কফি হাউজে বসে ভ্যানিটি খুললাম। ফোন বের করে এতক্ষণে সচল করে নিই।
এই সময় কুতুবের ফোন বেজে উঠলো । আমি কিছু বলবার আগে ও নাম দেখে কেটে দিল।
আমি কিছুক্ষণ উশখুশ করে শুধোলাম,”কে?”
ও বললো,”সময় ।”
-“কাটলে কেন? কথা বলো।”
-“না থাক।”
এরপর আমার ফোন বাজলো।একটুখানি বেজে আপনা- আপনি কেটে গেছে । আমি নম্বর দেখে নিই।
কুতুব কৌতুহূল নিয়ে চেয়ে রয়েছে।
ও শুধালো,”কে?”
আমি বললাম,”সময়। রেখে দিলো।”
কুতুব বললো, “তুমি ফোন দাও।”
-“এখন না। আমি শুরু করলে ওতো শেষ করবে না। রুমে বসে নিরিবিলিতে কথা বলবো।”
কথার মধ্যে কফিতে চুমুক দিই। প্রিয় কফি এখন বিস্বাদ ঠেকছে।পেয়ালা ঠেলে রাখলাম।
কুতুব শুধলো,”কফি ভাল না? ”
আমি কথা ঘোরালাম;”খাবার দাবারের বিষয়টা এখন সময় মাফিক। কফি খাওয়া উচিত হচ্ছে না। একটু পরেই রাতের খাবার দেবে।”
কুতুব আমার মনের অবস্থা বুঝলো। কি যেন বলতে গেল।অথচ বললো না।
আমি চোখ তুলে উদাস জানালার দিকে চেয়ে রই। অসীম নীলাকাশ আর ধূ ধূ নির্জনতার গলাগলির মধ্যে নৈসর্গিক সৌন্দর্য বিধৌত অদ্ভুত রকমের ছায়া সুনিবিড় এখানকার পরিবেশ। কার না ভাল লাগে? আমার কাছে এর সবই বিরক্তিকর।
ইতোমধ্যে দুপুর গড়াচ্ছে।রোদ সরসর করে পিছলে নেমে
আসছে পাহাড়ের চূড়ায়। গাছগাছালির আড়ালে সূর্যাস্তের অপরুপ দৃশ্য। সবুজের জঙ্গলে রক্তিম আলোর ম্লান হাতছানি।সেদিকে উদাস তাকিয়ে থাকি।আমি বারেবারে নিজেকে ভুলবার চেষ্টা করছি। আমার জন্য এখানে আনন্দের পরভৃত (কোকিল )ডাকছে না। সেই প্রচন্ড অসুস্থ প্রাণতরঙ্গের মধ্যে কোনও এক অসহনীয় বেদনার ঝড়।ছোট্ট আরেকটি প্রাণের ভাঙা বাংলার অভিযোগ (আমি কেন চলে যাই)আমার সমস্ত বোধ-অনুভূতি হীমাগারে রেখেছে।
এরই মধ্যে সময় শেষ অনেকটা। রোদ মিলিয়ে গেছে।
কুতুব বিল মেটালো।ঘড়ি দেখে বললো,”উঠতে হয়। বাস এখনই আসবে।তোমাকে একটু এগিয়ে দেই,চলো।”
আমি বললাম, “কি দরকার। বরঞ্চ তুমি গিয়ে যাত্রী ছাউনিতে বসো। আমি গেট পর্যন্ত যাই,বাস ছাড়লে চলে আসবো।”
কুতুব জোর করলো। ও বললো,”যে সময় আছে,নেমে এসে বাস ধরতে পারবো। আমার সমস্যা হবেনা।”
এটা শেষ বাস। যাদের নিজের গাড়ি নেই, যারা এই পথে যাবে, তারা একটু আগেই গিয়ে বড়ো রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর বাসে করে তাদের সুবিধা মতো জায়গায় নেমে যায় অথবা অন্য কোনো বাস ট্রেনে চড়বে।এখানে বাস অল্প সময়ের জন্য থামে। তার মধ্যেই যাত্রীরা ওঠানামা করে।
আমি বললাম,”বাসটা মিস হলে,তোমার খবর আছে। রাত্রি ভর গার্ডের সঙ্গে ——-”
-“না,না আমি পারবো।”
-“বললাম তো দরকার নেই।”
-“বেশ।”
অবশেষে কুতুব বাসের জন্য দ্রুত হাঁটছে। আমি পারছি না। একটু হাঁটায় হাঁফ ধরে। ও থেমে আমার হাতটা টেনে ধরলো।
গেটের মুখে বাইরের মরা বিকেলের হলুদ অন্ধকার। ছায়া ছায়া দেখায়। ইতোমধ্যে সেন্ট্রুমের এবং রাস্তার সব আলো জ্বলে উঠেছে। রাস্তার হলুদ অন্ধকারে বিজলি বাতির লালচে আলোর অদ্ভুত রকম কাঁটাকুঁটি চলছে।
গেটের কাছাকাছি এসে ও বললো,”তোমার স্টপেজ।”
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে গেটের সঙ্গে একটু ঠেস দেই।
ও বললো,”চিন্তা করোনা,কালকে আবার আসবো।হয়তো প্রত্যেক দিনই আসবো।”
আমি জবাব দিলাম না কোনো।
এক একটা সময় আসে, কোনো কথা বলার থাকেনা।কারণ জায়গাটা দূরত্বের জন্য শুধু নয় দূর্গম ও বাসের অপ্রতুলতা। কুতুব চাইলেও প্রত্যেক দিন আসতে পারবে না। তাছাড়া সময়ের এখন স্কুল খোলা।
সন্ধা আসন্ন। চারিদিকে ঘন জঙ্গলের ঘেরাটোপে ঢাকা বলে ত্রস্তপায়ে নেমে আসছে রাত।
গেটের বাইরে,অন্ধকারে দাঁড়িয়ে কুতুব আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল নিরবে। একটু পরই দূর থেকে বাসের হেডলাইটের আলোর নাচানাচি, কিছুটা আলো এদিক এসে লাগলো। বাসটা আসতে দেখা যাচ্ছে । রাস্তায় বাসের অপেক্ষায় থাকা কয়েক জন হাঁটাহাটি করছিলো।কয়েক জন বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে । একটুক্ষণের মধ্যে বাস এসে গেল। সঙ্গে সঙ্গে সেন্ট্রুমের ওদিক থেকে আরও তিন -চারজন নারী পুরুষ দৌড়ালো বাস ধরতে।
কুতুবের কালো মুখে লালচে আভা। আমার হাতটা আঁকড়ে ধরে বললো,”আমি কিছু করার উৎসাহ পাবো না, যদি তুমি না ভাল হয়ে ওঠো।সাবধানে থাকবে।”
আমার চোখ জ্বালা করে ওঠে।
আমি বললাম,”সময়ের দিকে খেয়াল রেখো। বাসায় পৌঁছে ফোন দেবে।আর সময় যদি ঘুমায়, ডেকে তুলোনা।”
বাসটা এইমাত্র এসে থেমেছে।ভেতরে তেমন যাত্রী নেই।
আমি হাত ছাড়িয়ে নিই। ওকে ঠেলে দিয়ে বললাম,”দৌঁড় লাগাও।”
কুতুব আমার ঔষ্ঠে আঙুল ছুঁইয়ে সত্যি সত্যিই ছুটে গিয়ে বাসে উঠে বসলো।
যাত্রীরা সবাই উঠে গেছে। বাসের দরজাও বন্ধ হলো । সিগন্যাল পড়তেই মুহূর্তের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছে বাস।দেখতে দেখতে সর্পিল আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল ব্যাকলাইটের আলো।
চারিদিকে হীম হাওয়া আর সুনসান নিরবতা। ফাঁকা যাত্রী ছাউনি নিরিবিলি ,অলস বিশ্রাম নিচ্ছে । বাসের শব্দ আর শোনা যায় না।

একটু আগে বাস কুতুবকে নিয়ে চলে গেছে এইপথে। আমার বুকে বাজছে একাকীত্ব আর বিষণ্ণতার বোবা মাদল। আমি আর দাঁড়াতে পারছিনা। খানিক চেয়ে থেকে রুমের উদ্দেশে হাঁটা ধরলাম।

কিভাবে যেন একটা দিনের শেষ,রাতের শুরু। নীচে থাকতেই রাতের খাওয়া দাওয়া করে নিয়েছি। আমার প্রতিবেশীরা নৈশভোজের পরপরই আলো নিভিয়ে যার যার ঘরে শুয়ে পড়েছেন। কারও কোনো সাড়াশব্দ নেই । আমার কেবলই মনে হচ্ছে, সেন্ট্রুম এক কারাগার। আমরা সবাই কারাবন্দি। শাস্তি দিতে,ধরে বেঁধে এখানে কারাবাস দিয়ে রেখেছে । আমার এত বয়স হয়েছে, জীবনে কত শত বিপত্তি, ঝড় ঝাপটা বয়ে গেল মেয়েবেলা থেকে। তবু আজকের মতো অবস্থায় আগে কখনও পড়িনি।এমন অসহায় কখনও বোধ করিনি। আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি সমস্ত অস্তিত্ব এত পরনির্ভর কেন? অথচ মহান আল্লাহ্তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে গড়েছেন। ডাক্তারি হিসাব নিকাশ যাই থাক,পীড়িত মানুষগুলোর আপনজন ছাড়া একাএকা রাত্রিবাস মানেই তো কারাদণ্ড,শাস্তি ছাড়া আর কি???

সময়ের বাঁধানো একটা ছবি কুতুব এনেছিল লাগেজের সঙ্গে। ছবিটা বিছানার পাশে কাছাকাছি টেবিলে রেখে গেছল। আমিও ক্যাফে থেকে বেছে বেছে কতকগুলি কার্ড আর ডাকটিকিট কিনেছিলাম কিছু। মাঝে একবার,ফোন সহ সেসব একই জায়গায় রেখেছি। সুযোগ পেলে সময়কে একটু একটু করে লিখে পোস্ট করবো। এখন পড়তে পারবেনা,কার্ডের ছবিগুলো দেখবে অন্তত।
রাত হয়েছে। নামাজ পড়া হয়নি।অতএব,লেখায় সামান্য
ক্ষ্যান্ত দিই।

নামাজ আদায় করতে যতক্ষণ লাগলো।
তারপর বন্ধ দরজা -জানালা আরেকবার চেক করে সময়ের ছবিটা কাছে এনে,লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লাম বিছানায়।
কুতুবের পৌঁছাতে দেরী হবে।ঘরের আলো জ্বলছে। ইচ্ছে করেই নেভাইনা। অন্ধকারে থাকতে ভয় পাই। নদী-সমুদ্র,পাগল, ক্ষ্যাপা কুকুর এবং অন্ধকার রাত আমার ভীষণ ভয় লাগে।
সে যাক,মানুষের শ্বাস থাকা পর্যন্ত ইন্দ্রিয়ানুভূতির অবসর নেই।ষঢ় ইন্দ্রিয়ের কোনো না কোনো অনুভূতি সচল থাকে। মানুষ যখন একটু একলা,আশেপাশে কেউ থাকেনা,তখন নিজেকে অনেকের ভূমিকায় দাঁড় করিয়ে একাএকা বকে। জীবনের যত সত্যি কথা স্বচ্ছন্দে বলে যায়। আমিও নিজের সঙ্গে নিজে একা কথা বলা ধরলাম। কিছুটা ভয় তাড়ানোর জন্য, কিছুটা জেগে থাকার জন্য,

বাইরে নিঝঝুম অপার নিশিরাত।চোখ এটে আসছে। কিছুতেই মেলে রাখতে পারছি না। একসময় একটা অতিরিক্ত পরিশ্রমের ভ্রমণের পর, অনিচ্ছুক চোখে ধেয়ে আসলো ঘুম। চলবে…….

এ জাতীয় আরো সংবাদ